
বিয়ের আর মাত্র ১০ দিন বাকি। সবই চলছিল স্বাভাবিক নিয়মে। কিন্তু শেষ সময়ে ঘটে যায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালিয়েছেন এক মা। এ ঘটনায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতের উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেয়ের বিয়ের মাত্র ১০ দিন আগেই মা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। এতে দুই পরিবারই ক্ষুদ্ধ ও বিস্মিত হয়েছে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ার পর তারা পুলিশে আত্মসমার্পণ করেছেন।
পালিয়ে যাওয়া ওই নারীর নাম স্বপ্না আর মেয়ের হবু স্বামীর নাম রাহুল। পুলিশি হস্তক্ষেপের পরই তারা ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। স্বপ্না বলেন, আমি রাহুলের সাথেই থাকব, যাই হোক না কেন। আমি ওকে বিয়ে করব।
ওই নারীরর অভিযোগ, তার স্বামী মদ্যপান করে তাকে মারধর করত এবং মেয়ের সাথেও তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে মেয়ের অভিযোগ, তার মা সাড়ে তিন লাখ টাকা ও পাঁচ লাখ টাকার গহনা নিয়ে পালিয়েছেন। অন্যদিকে ওই নারী বলেন, আমি শুধু মোবাইল আর ২০০ টাকা নিয়ে বেরিয়েছিলাম।
রাহুল জানান, যদি সে দেখা না করে তাহলে ওই নারী তাকে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যদি আমি আলিগড় বাসস্ট্যান্ডে না যাই, সে মরে যাবে। তাই আমি গিয়েছিলাম। প্রথমে আমরা লক্ষ্ণৌ, তারপর মুজাফফরপুর গিয়েছিলাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাহুলকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি প্রথমে দ্বিধায় পড়েন। তিনি বলেন, তেমন কিছু না। পরে অবশ্য তিনি বিয়ে করার কথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে স্বপ্নার পরিবার জানিয়েছে, তারা আর তাকে ঘরে ফিরতে দেবেন না। তার শ্বশুরবাড়ির পরিবারের দাবি, তাকে নিয়ে যাওয়া অর্থ ও গয়না ফিরিয়ে দিতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই নারীর সাবেক স্বামীর ভাই বলেন, আমার ভাইয়ের সংসার ভেঙে দিয়েছে ও। আমরা শুধু আমাদের জিনিসগুলো ফেরত চাই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার বিষয়ে পুলিশ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর