
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বিএনপির একটি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইতনা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা পর পাপন সিকদার (৩৮) নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি। শুক্রবার রাত ১ টা ৪৫ মিনিটে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। মামলার এজহারে তিনি নিজেকে ইতনা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছেন।
এজহারে বাদী রবিউল ইসলাম শেখ অভিযোগ করেন, গত ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় অফিসে বাদী রবিউল ইসলাম শেখসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল এবং জনমত গড়ে তোলার বিষয়ে আলাপ করছিলেন। এই সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্ব আসামিরা হাতুড়ি, ককটেল, পাইপগান, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, লোহার পাইপ, এস এস পাইপ এবং অবৈধ পিস্তলসহ বিএনপির অফিসে প্রবেশ করে। অফিস কক্ষ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অফিস থেকে বের করে দেয়। এরপর সেখানে তাদের হাতে থাকা ৮-১০ টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ফ্যাসিস্টরা 'দুই একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর' বলে স্লোগান দিতে থাকে।
এজহারে বাদী আরও উল্লেখ করেছেন, অফিস কক্ষে সাঁটানো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত পোস্টার টেনে ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেন। বিএনপির দলীয় অফিস কক্ষ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলেও মামলায় দাবি করেছেন রবিউল ইসলাম শেখ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর