
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়গারফা গ্রামের সাত বছরের শিশু কন্যা জুঁই কে হত্যা করে চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর এলাকার একটি ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।
সেই লাশ ১৫ এপ্রিল উদ্ধার করে চাটমোহর থানা পুলিশ। পরে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে চাটমোহর ও বড়াইগ্রামের পাঁচজন কিশোরকে আটক করে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ও নাটোর জেলা ডিবির একটি দল।
রবিবার (২০ এপ্রিল) চাটমোহর থানা পুলিশের ওসি মনজুরুল আলম সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাটমোহর, বড়াইগ্রাম থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে পাঁচ বখাটে কিশোরকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। গ্রেফতাররা সবার বয়স ১৪-২৫ বছর। রবিবার পাবনা আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
গত সোমবার পহেলা বৈশাখের দিন বিকেলে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা গ্রামের শিশু জুঁই দাদীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে এই পাঁচ কিশোর নেশাগ্রস্ত হয়ে শুধু নিজেদের পৈশাচিক চাহিদা মেটাতে সঙ্ঘবদ্ধভাবে রাতভর তাকে ধর্ষণ করে।
নির্যাতনের এক পর্যায়ে শিশুটি মারা গেলে এসিড জাতীয় কোন দ্রব্য দিয়ে তার মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় এ যুবকরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। আটক সবাই শিক্ষার্থী, দোকানি ও কৃষি কাজ করে।
১৫ এপ্রিল চারদিকে খোঁজা খুজির এক পর্যায়ে সকালে পার্শ্ববর্তী পাবনার চাটমোহরের রামপুর বিলের একটি ভুট্টা ক্ষেতে জুঁইয়ের মরদেহ পাওয়া যায়।
ঐ দিন রাতে জুঁইয়ের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৫ কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতাররা শিশু জুঁই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে চাটমোহর থানা পুলিশ তাদেরকে পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর