সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মামা, মামী ও মামাতো বোনকে হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি ভাগ্নে রাজিব কুমার ভৌমিককে (৩৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট হামিদুল ইসলাম দুলাল নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত রাজিব কুমার ভৌমিক সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের মৃত বিশ্বনাথ ভৌমিকের ছেলে। তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার বিকাশ সরকারের আপন ভাগ্নে।

মামলার বরাতে অতিরিক্ত পিপি হামিদুল ইসলাম দুলাল বলেন, ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি টাকা-পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার বারোয়ারি বটতলা মহল্লার বাসিন্দা বিকাশ সরকার (৪৫), তার স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার (৪০) ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী কন্যা পারমিতা সরকার তুষিকে (১৫) গলা কেটে হত্যা করেন রাজিব।

হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পর তালাবদ্ধ বাসা থেকে পুলিশ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত স্বর্ণা রানীর ভাই সুকমল চন্দ্র সাহা বাদী হয়ে তাড়াশ থানায় অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে মোবাইল ফোনে মামা-ভাগ্নের কথোপকথনের সূত্র ধরে রাজিবকে আটক করে সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আসামির বিরুদ্ধে রায় প্রদান করেন। উল্লেখ্য, দণ্ডপ্রাপ্ত রাজিব ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছেন।

সালাউদ্দিন/সাএ