
ভয়াবহ বিমান হামলা চালায়। হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিলেন আল-মাওয়াসির এলাকার তথাকথিত “নিরাপদ জোনে” অবস্থানরত। একইদিনে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় আরও দুই ব্যক্তি প্রাণ হারান।
অন্যদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনেও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ হামলায় রাজধানী সানার একটি জনবহুল বাজারে অন্তত ১২ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন।
পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ২০১ জনে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, চলমান সংঘাতে আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৬৯ জনে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে আছেন, যাদের কাছে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারছেন না।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। প্রায় দুই মাস শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেও, মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে গাজায় আবারো হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের সঙ্গে মতানৈক্য এবং সেনা প্রত্যাহার ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল আবারও আগ্রাসন শুরু করে।
গাজায় গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন দফার হামলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৮২৮ জন। এই হামলা কার্যত চলমান যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে লঙ্ঘন করেছে।
জাতিসংঘ জানায়, ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং অঞ্চলটির প্রায় ৬০ শতাংশ অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়াও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাজায় গণহত্যার অভিযোগে মামলাও চলছে।
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর