
চট্টগ্রাম বন্দরের একের পর এক টার্মিনাল ও স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে বিদেশি কোম্পানির হাতে। তার-ই ধারাবাহিকতায় বন্দরের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণকারী টার্মিনাল এনসিটিও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও দেশের স্বার্থ পরিপন্থি চুক্তি বাস্তবায়নের পথে হাঁটায় উদ্বিগ্ন তারা। অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রে বিদেশিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরির শঙ্কা তাদের।
২০১৯ সালে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-এনসিটিকে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে পরিচালনার উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে টেন্ডার হলেও সরকারের নির্দেশে তা আলোর মুখ দেখেনি।
এরপর টেন্ডার ছাড়া পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ নামে পদ্ধতি চালু করে তৎকালীন সরকার। এই প্রক্রিয়ায় ২০২৩ সালে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল-পিসিটি সৌদি প্রতিষ্ঠান রেড-সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের হাতে তুলে দেয়া হয়। চুক্তি করা হয় ২২ বছরের।
এখন বিগত সরকারের করা সেই নিয়মেই দুবাই পোর্টের কাছে এনসিটি টার্মিনাল হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনায় স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। বিদেশি মালিকানায় ছেড়ে দিলে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি তাদের।
তবে, বন্দর সংশ্লিষ্টদের দাবি, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত। উন্নয়ন এগিয়ে নিতে বিদেশিদের হাতে তুলে দিয়ে নয়, দেশীয় ব্যবস্থাপনার প্রতি জোর দেয়ার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর