
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরেফ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজধানীর চানখারপুলে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের তদন্ত শেষ হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তাজুল ইসলাম জানান, ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট সময়কালে সংঘটিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন ১৯৫ দিনের তদন্ত শেষে ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে। ৯০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে মোট ৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন—ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম। এছাড়া পলাতক রয়েছেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আরও কয়েকজন।
প্রসিকিউটর জানান, ওই সময় চানখারপুল এলাকায় একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেওয়া নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।
তদন্তে উঠে এসেছে, পলাতক আসামি হাবিবুর রহমানসহ অন্য অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বা ঘটনাটি তত্ত্বাবধান করেন। তারা অধীনস্থদের নির্দেশনা, সহায়তা ও প্রশ্রয় দিয়ে হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা রাখেন। এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং তা শাস্তিযোগ্য।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্তে ৭৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। সংযুক্ত রয়েছে ১৯টি ভিডিও, ১১টি পত্রিকার প্রতিবেদন, ২টি অডিও ক্লিপ, ১১টি বই ও রিপোর্ট এবং ৬টি মৃত্যু সনদ।
সর্বশেষ খবর