
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বিয়ের মাধ্যমে মানুষ পাপাচার থেকে বাঁচতে পারে। আদর্শ পরিবার গঠন, জৈবিক চাহিদা পূরণ ও মানসিক প্রশান্তির জন্য বিয়ের বিকল্প নেই।
সোমবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ কনভেনশন হলে ওয়ার্ল্ড অ্যাসেম্বলি অব মুসলিম ইয়ুথ (ওয়ামি) আয়োজিত পিতৃহীন ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল তরুণ-তরুণীর গণবিয়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে নতুন পরিবার গড়ে ওঠে এবং মানব বংশধারা পৃথিবীতে বিস্তৃতি লাভ করে। পৃথিবীতে যত নবি-রাসুল এসেছেন, দু’একজন ছাড়া সবাই বিয়ে করেছেন। এটি মানুষের ঈমান ও আমলকে সুসংহত করে।
তিনি বলেন, হাদিসে আছে, যখন কেউ বিয়ে করে সে দ্বীনের অর্ধেকাংশ পূরণ করে, বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে। চরিত্র সংরক্ষিত রাখার জন্য বিয়ে অনন্য ব্যবস্থা।
ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে ৬০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট পরিবারের উদ্যোগে পাত্র-পাত্রী চূড়ান্ত করা হয়। পাত্র-পাত্রীরা তাদের অভিভাবকসহ পিএসসি কনভেনশন হলে উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের খুতবা পাঠ করেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও এটিএন বাংলার ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শাহ মোহাম্মদ ওয়ালীউল্যাহ।
গত কয়েক বছর ধরে ওয়ামি বাংলাদেশে কন্যাদায়গ্রস্ত পরিবারের বিবাহযোগ্য এতিম-অসহায় মেয়েদের বিয়ের আয়োজনের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
এ অনুষ্ঠানে ওয়ামী বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মোহাম্মদ রেদওয়ানুর রহমান, ওয়ামী প্রধান কার্যালয়ের প্রতিনিধি ডা. আইমান ঈসা আল সোলাইমানির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এবং দাতা সংস্থা সিডস অব সাদাকার চেয়ারম্যান আসাদ মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে।
গণবিয়ে কার্যক্রমে বিয়ের সামগ্রিক আয়োজনের পাশাপাশি প্রতিটি নবদম্পতিকে অলংকার, সাজসজ্জার উপকরণ, পোশাক, আসবাবপত্র, নিত্যব্যবহার্য সরঞ্জাম উপহার দেওয়া হয়।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর