
পঞ্চগড়ে প্রধান শিক্ষককে বিএনপি অফিসে ডেকে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে সেই শিক্ষককে বিএনপি নেতার পছন্দের ব্যক্তিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করার জন্য হুমকি দিয়েছেন। শিক্ষকের মুখ এবং গলা চেপে ধরেন বলে অভিযোগ শিক্ষকের। এসময় অবস্থা বেগতিক দেখে প্রাণ ভয়ে পার্টি অফিস থেকে পালিয়ে যায় সেই শিক্ষক। সোমবার দিবাগত রাতে ঘটনাটি পঞ্চগড়ের আটোয়ারি উপজেলা বিএনপি অফিসে।
এই ঘটনায় সোমবার গভীর রাতে মারধরের বিচার দাবী করে আটোয়ারি উপজেলার ক্রেডিট ইউনিয়ন কো অপারেটিভ লিমিটেড (কাল্ব) কার্যালয় সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার ধামোর হাট আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার।
এ সময় আব্দুল জব্বারের সাথে তড়েয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমান, তোড়িয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম প্রধান সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম সহ কয়েকজন শিক্ষক। তবে সকল অভিযোগ অস্বীককার করেছেন অভিযুক্ত আটোয়ারি উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক বজলার রহমান জাহেদ এবং সদস্য সচিব কুদরত-ই খুদা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল জব্বার জানান আমাদের আটোয়ারি উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক বজলার রহমান সোমবার রাত আটাটার দিকে আমাকে মুঠোফোনে কল করে পার্টি অফিসে আসতে বলেন। আমি পার্টি অফিসে যাওয়া মাত্রই সদস্য সচিব কুদরত-খুদা দরজা বন্ধ করে দেয়।
এসময় উত্তেজিত হয়ে বলেন আমাদের পছন্দের ব্যক্তিকে কেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করা হয়নি। অন্য ব্যক্তিকে কেন সভাপতি করা হয়েছে। আমি তাদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছি আমি নীতিমালা অনুযায়ী দুইজন বিএনপি নেতাসহ তিনজনের তালিকা জেলা প্রশাসকের কাছে তালিকা প্রেরণ করেছি। জেলা প্রশাসক সুপারিশ করে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে তালিকা প্রেরণ করেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়।
এমন কথা বলার সাথে সাথে আমাকে আমার মুখ গলা চেপে ধরেন কুদরত-খুদা। এ সময় কুদরত বলেন তিনদিনের মধ্যে কমিটি পরিবর্তন না করলে আমাকে বাড়ি থেকে তুলে এনে আমাকে মারধর করার নির্দেশ দেন উপস্থিত ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মীকে। তাৎক্ষণিক আমি প্রাণ বাঁচাতে কোনোমতে বিএনপি অফিস থেকে পালিয়ে যাই। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
আব্দুল জব্বার ক্যামেরার সামনে বলেন আমি একজন শিক্ষক আমি মারধরের পর লোকলজ্জায় মুখ দেখাতে পারছিনা। আমি এর বিচার চাই।
আটোয়ারি উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক বজলুর রহমান জাহেদ নিজেকে অত্যন্ত ভদ্র দাবী করে বলেন আসলে আব্দুল জব্বার নামে ওই প্রধান শিক্ষক আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আমি তাকে পার্টি অফিসে আসতে বলেছি এমনটা নয় বরং আমি তাকে কল করলে জব্বারই বলেন আমি পার্টি অফিসে আসতেছি আপনার দেখা করার জন্য। তবে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতির সাথে উচ্চস্বরে কথা চলছিল এ সময় আমি ধমক দিয়েছিলাম। আমার সদস্য সচিব কুদরতও তাকে কখনো মুখ চেপে ধরেনি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর