
ঢাকা, সিটি এবং আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ ছয় মাসে প্রায় ১২০ বার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন। মারামারি ও সংঘর্ষের মূল কারণ হিসেবে প্রায়ই ইগো এবং হিরোইজমের মতো বিষয় উঠে এসেছে। এসব সংঘর্ষ প্রাথমিকভাবে কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করা, চায়ের দোকানে বসা নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রেমঘটিত বিষয় ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্যের মতো অপ্রত্যাশিত কারণে ঘটছে।
এ তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যা প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজারের মধ্যে। রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকার মধ্যে নিউমার্কেট মোড় থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত এলাকাটি প্রায়ই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে থাকে। মারামারির কারণে শিক্ষার্থীরা সড়কের দুই পাশের গলিতেও ছড়িয়ে পড়ে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জড়িতদের টিসি দেওয়ার পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এ তিন কলেজে যেন তারা ভর্তি না হতে পারে তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশও ঘোষণা দিয়েছে যে, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেই মামলা করা হবে।
কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন, কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রের কারণে পুরো কলেজের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এর পাশাপাশি, এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনার জন্য সরকারকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং অভিভাবকদেরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমান বলেন, "এটি এখন তিক্ততার পর্যায়ে চলে গেছে। সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।"
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, নিয়মিত টহল দেওয়ার জন্য তিন কলেজ মিলে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পর দোষী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার বলেন, "আমরা ক্লাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি, যেন তারা এই ধরনের মারামারি ও সংঘর্ষ থেকে দূরে থাকে। তাদের ভবিষ্যতের দিকে নজর দিতে হবে।"
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ কমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, "আমরা মারামারি প্রতিরোধে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। মামলা দেওয়া হয়েছে যাতে ভয়ের মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনা যায়।"
সর্বশেষ খবর
এক্সক্লুসিভ এর সর্বশেষ খবর