
গোল্ডেন ভিসার সুযোগ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করে ৪৫৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিলাসবহুল প্রপার্টি গড়ে তুলেছেন—এমন অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। য মুনা টিভির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই দেশে ব্যবসা ও বিভিন্ন পেশার আড়ালে ধাপে ধাপে বিপুল অর্থ পাচার করে দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তাদের নামে ৯৭২টি টিপি (টাইটেল ডিড) প্রপার্টি রয়েছে, যার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৭০ জনকে চিহ্নিত করে তাদের আয়কর নথি তলব করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “টিআইএন নম্বরসহ কর-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য চাওয়া হয়েছে, যাতে তাদের আয় ও সম্পদের প্রকৃত উৎস খতিয়ে দেখা যায়।”
এছাড়া, অর্থ পাচার ও শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। তার বিষয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও অন্যান্য সংস্থার কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দুদক কমিশনার মিয়া আলী আকবর আজিজ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,
“অর্থ পাচারকারীরা শয়তানের মতো। শয়তান যেমন দেহে থাকে, কিন্তু চোখে দেখা যায় না, তার কুকর্মে মানুষ কষ্ট পায়—তেমনি পাচারকারীরাও সমাজে দুঃখ-কষ্ট বাড়ায়। কিন্তু ইনশাআল্লাহ, কোনো না কোনোভাবে তাদের চিহ্নিত করতে পারলেই আমরা কাউকে ছাড় দেব না।”
তিনি আরও বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং এ ব্যাপারে দুদক কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে, প্রায় ৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।
সর্বশেষ খবর