
ভোলার চরফ্যাশনে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে প্রকাশ্যে চলছে বাগদা ও গলদা চিংড়ির রেনু পোনার অবাধ নিধন। উপজেলার অন্তত ২০টি ঘাটে প্রায় সহস্রাধিক ভ্রাম্যমাণ জেলে ৫টি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নির্বিচারে শিকার করছেন বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনা। অথচ মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা নেই।
স্থানীয়রা জানান, নদীপাড়ের অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। এ সুযোগে অসাধু চক্রের সিন্ডিকেট ইউপি সদস্য রাসেল, মো. ইউনুস, জাহাঙ্গীর, জাকির ফকির ও ছাবের প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দাদনের ফাঁদে ফেলে জেলেদের দিয়ে রেনু পোনা শিকার করাচ্ছেন। সংগ্রহ করা পোনা পাইকারদের মাধ্যমে রাতের আঁধারে পাঠানো হয় সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটে।
একাধিক সূত্র জানায়, ১০০টি পোনার দাম ২০-৩০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়। প্রতিটি আড়তের অধীনে ২০ থেকে ২৫ জন জেলে কাজ করেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও কিশোর। এতে শুধু বাগদা-গলদাই নয়, অন্যান্য প্রজাতির মাছের পোনাও ধ্বংস হচ্ছে, যা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি।
মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার পাড়ে দেখা যায়, জেলেরা টং ঘরে বসে জাল ফেলে পোনা ধরছেন, পাইকাররা সেই পোনা ব্যারেলে ভরে নিয়ে যাচ্ছেন আড়তে। আড়তদাররা আবার রাতের আঁধারে এসব পোনা বিভিন্ন জেলায় পাচার করছেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, "আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে, তবে ছোট জাল ও ভ্রাম্যমাণ জেলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।"
স্থানীয়রা এ বিষয়ে কঠোর প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও আড়ত মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর