
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশাসনিক দায়িত্বগুলো ইসির আওতায় থাকলেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার দায়িত্ব ঐক্যমত কমিশনের। তিনি বলেন, “যেগুলো আমাদের ক্ষমতার মধ্যে আছে সেগুলো নির্বাচনের আগেই শেষ করব। তবে রাজনৈতিক বিষয়গুলোর সিদ্ধান্ত নেবে ঐক্যমত কমিশন।”
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ব্যবস্থায় সম্ভাব্য সংস্কার, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইল (H.E Susan Ryle) বলেন, “আমরা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জানতে চেয়েছি। আমাদের আগ্রহ, এটি যেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়।”
সিইসি নাসির উদ্দিন জানান, “ভোটার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াকে আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হিসেবে দেখছি। এটি প্রায় সম্পন্নের পথে। নির্বাচনী সামগ্রীর কেনাকাটার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব আইন সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আচরণবিধি সংশোধন এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের নীতিমালা নিয়েও কাজ চলছে। ইউএনডিপি আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করছে, অস্ট্রেলিয়াও চাইলে সংশ্লিষ্ট খাতে অংশ নিতে পারে।”
সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে সিইসি আবারও জোর দিয়ে বলেন, “প্রশাসনিক বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকলেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো ঐক্যমত কমিশনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।”
সর্বশেষ খবর