
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু হয়েছে। প্রতিদিনিই গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা।
শিশু থেকে সব বয়সীরাই ডায়রিয়া ও পানিবাহিত কলেরাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। ২৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্যসেবাই রোগী ভর্তি ৪০০ জন। যা ধারণ ক্ষমতার তুলনাই রোগী বেশি। তবে চিকিৎসকরা নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে রোগী স্বজনদের।
জানা গেছে, জেলার একমাত্র চিকিৎসা স্বাস্থ্য কেন্দ্র সদর হাসপাতাল। এই হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার তুলনাই রোগী ভর্তি থাকে বরাবরই বেশি। কয়দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। ফলে গরমের তীব্রতাও বাড়তে শুরু করেছে। এঅবস্থায় গরমের সব বয়সী মানুষেরা গরম জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৩০ জন রোগী আসছে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে। আর এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তি থাকছে ৫৫ থেকে ৬০ জন। এই ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেশি রোগী থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে বেডের। আর তাই মেঝেতে অবস্থান করে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে রোগী স্বজনরা।
এদিকে, গরমজনিত রোগে থেকে বাঁচতে চিকিৎসকরা নিয়মিত রোগী স্বজনদের পরামর্শ দিয়ে চলেছে। এছাড়া সদর হাসপাতালে গরমজনিত রোগের খাবার স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ঔষুধের কোন ঘাটতি নেই বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন বিলকিস নাহার বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুরা ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। ডাক্তাররা আসছে চিকিৎসা দিচ্ছে। যেমন গরম তেমন রোগীর চাপ। আর বেশির ভাগই সব ডায়রিয়া আক্রান্ত। আর কিছু বয়সিরা আসছে গরম জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অবস্থায়।
আরেক রোগীর স্বজন আব্দুর রহমান বলেন, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী বেশি । তাই পর্যাপ্ত বেড নেই। ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি প্রায় ৪০০ জন। আবার ডাক্তার কিছুটা সংকট আছে। তবে গরমের কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছে গরমের রোগ প্রয়োজনীয় করণীয় নিয়ে।
এ বিষয়ে কথা হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আসাদুর রহমান খোকন বলেন, গরমের কারণে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগে প্রতিদিন রোগী বাড়ছে। শিশুরা ডায়রিয়া ও টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।
শয্যার তুলনায় অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় গরমের ভেতর গাদাগাদি করে মেঝে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আর গরমের কারণে ডায়রিয়া ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগীর সঠিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি।
গরমে শিশুদের প্রতি যত্নবান হতে হবে পরিবারের সদস্যদের। অতিরিক্ত গরম শিশুরা সহ্য করতে না পারায় সহজে রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। টাটকা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি খাওয়াতে হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর