
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক আব্দুল জব্বারের বলী খেলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে লালদিঘী মাঠে এ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ।
এবার বলী খেলায় ১২০ জন নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে ৮০ জনকে বাছাই করে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এই ৮০ জনের মধ্য জয়ী ৪০ জনকে পুরস্কৃত হবেন, গতবারের শীর্ষ চারজন এবং নতুন চারজন চ্যালেঞ্জ রাউন্ডে খেলবেন। তাদের মধ্যে চারজন সেমিফাইনালে খেলবেন। খেলা শেষে জয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করবেন সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন।
বলীদের লড়াইয়ের পাশাপাশি জমে উঠেছে দর্শক-উৎসবও। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সী দর্শনার্থী ভিড় করেছেন লালদীঘি প্রাঙ্গণে। কারও হাতে রঙিন বেলুন, কারও কাঁধে শিশু-চারপাশে শুধুই উৎসবের আমেজ।
পাশেই অনবরত বাজছে ঢোল। ঢোলের তালে তাল মিলিয়ে যেন আরও জমে উঠছে বলীদের লড়াই, আর উচ্ছ্বাসে মুখর হয়ে উঠছে পুরো এলাকা। এদিকে, খেলা উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার থেকে বসেছে বৈশাখি মেলা। লালদিঘী মাঠের আশপাশের প্রায় দেড় বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই মেলা বসছে।
মেলা উপলক্ষ্যে তৈরি দোকানে মাটির তৈরি তৈজসপত্র, খেলনা, ফুলদানি ও পুতুল, বেত-কাঠ ও বাঁশের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র, হাতপাখা, মাছ ধরার পলো, ডালা, কুলো, গাছের চারা, মুড়ি মুড়কি, শীতল পাটি, দা-বটি, ছুরিসহ গৃহস্থালির বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে বক্সিরহাট এলাকার স্থানীয় আব্দুল জব্বার সওদাগর নগরীর লালদিঘী মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা। যা সময়ের পরিক্রমায় জব্বারের বলী খেলা নামে পরিচিতি পায়। বৈশাখের ১২ তারিখে লালদিঘীর ময়দানে বলী খেলা হয়। এ উপলক্ষ্যে তিনদিন ধরে চলে মেলা।
২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে জব্বারের বলী খেলা ও মেলার আয়োজন হয়নি। এর পর থেকে পুনরায় নিয়মিত লালদিঘীর মাঠে ঐতিহাসিক জব্বারের বলী খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর