
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ঘুমন্ত শিশু সন্তানকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড মা আসমা খাতুনের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বাটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থাণীয় জনতা ঘাতক মাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
নিহত শিশুর নাম খাদিজা খাতুন (১)। সে কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃতের নাম আসমা খাতুন (২৪) তৌহিদুজ্জামানের স্ত্রী ও বাটরা গ্রামের আব্দুল মাজেদের মেয়ে।
আসমার বোন রেশমা খাতুন জানান, তার দুই ভাই মারয়েশিয়ায় থাকে। ২০২১ সালের জুন মাসে তার বোন আসমার সাথে একই উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে আসমার গর্ভে তানভির হোসেন টাইগার ও খাদিজা খাতুন নামে দুটি সন্তান হয়।
সম্প্রতি আসমা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এ কারণে তার মা আলেয়া খাতুন বৃহস্পতিবার আসমাকে চিকিৎসার জন্য শশুর বাড়ি থেকে বাড়িতে আনেন।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে আসমা তার মেয়ে খাদিজাকে ঘরের বারান্দায় রেখে ঘুম পাড়াচ্ছিল। এ সময় মা আলেয়া মেয়ে আসমাকে ডাক্তারখানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মটরভ্যান আনতে যান। কিছুক্ষণ পর আসমা রান্না ঘর থেকে ধারালো বটি নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় খাদিজার গলা কুপিয়ে হত্যা করে। পরে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
জালালাবাদ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোজাব্বর হোসেন জানান, শিশু সন্তানকে হত্যার পর আসমা সেখানেই বসে ছিল। মানসিক ভারসাম্য হারানোর ফলে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় আসমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে।
শিশু খাদিজার লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর