
্জএমতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নবীগঞ্জের কৃতি সন্তান ও সাংবাদিক মুরাদ আহমদ। গত ২২ এপ্রিল দলের মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উক্ত পদে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে অতীতের ন্যায় সংগঠনকে গতিশীল করতে তিনি আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।
মুরাদ আহমদ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম মুহাম্মদ ইমতিয়াজ মাস্টারের সন্তান। তাঁর পারিবারিক পরিমণ্ডলে রয়েছে শিক্ষাব্যক্তিত্ব ও জনপ্রতিনিধিত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত উপাচার্য প্রফেসর হাবিবুর রহমান এবং নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুর রহমান আনোয়ারের ভাগিনা।
দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত মুরাদ আহমদ ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয় ছাত্র সমাজের নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি, নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও তার রয়েছে দৃঢ় উপস্থিতি। বর্তমানে তিনি দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নিয়োগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাংবাদিক মুরাদ আহমদ বলেন, “জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমাকে যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনীত করায় আমি পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীমাতা বেগম রওশন এরশাদ, মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদসহ সংশ্লিষ্ট সকল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমি সংগঠনের সকল নেতাকর্মীর সহযোগিতা কামনা করছি।”
উল্লেখ্য, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর থেকে মুরাদ আহমদ পল্লীমাতা বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর