
নিষেধাজ্ঞার ১২ দিনেও চাল পাননি ২৭ হাজার জেলে সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে শতশত নৌকা-ট্রলার। ঘাটে নেই হাঁকডাক- কোলাহল।
জেলেদের মধ্যে কেউ জাল বুনছেন কেউবা ঘাটে অলস সময় পার করছেন। কেউ আবার ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত। কাজ না থাকায় অনেক জেলেই ফিরে গেছেন বাড়ি।
এ অবস্থায় একদিকে সংসারের চিন্তা অন্যদিকে এনজিও আর মহাজনের ঋণ। ফলে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন জেলেরা। এমন বাস্তবতায় তাদের জন্য চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তা পৌঁছায়নি সাতদিনেও। এতে অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে জেলেদের।
প্রথমবারের মতো ভারতের সঙ্গে মিলিয়ে বঙ্গোপসাগরে চলছে ৫৮ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। তবে নিষেধাজ্ঞা শুরুর ১২দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারি বরাদ্দের চাল পায়নি বরগুনার সমুদ্রগামী ২৭ হাজার নিবন্ধিত জেলে। সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে শতশত নৌকা-ট্রলার
সংশ্লিষ্টদের দাবি, এ বছর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমিয়ে ৫৮ দিন করায় ও নিষেধাজ্ঞার সময় এগিয়ে আনায় বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় সময় লাগছে।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিবছরই সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দুই ধাপে ৮৬ কেজি চাল বিতরণ করা হয়। সমুদ্রে মাছের উৎপাদন বাড়াতে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতো।
এবার উপকূলীয় জেলেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সঙ্গে সময় সমন্বয় করে এই নিষেধাজ্ঞা ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। বরগুনা জেলায় মোট নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৩৭ হাজার, যাদের মধ্যে সমুদ্রগামী জেলের সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার ২০০।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন বলেন, নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে বাস্তবায়নে আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছি। এ বছরের বরাদ্দ এখনো আমরা পাইনি। তবে যেহেতু এবার সময় কমিয়ে আনা হয়েছে সে হারেই খুব দ্রুত জেলেদের মাঝে তাদের প্রণোদনার চাল পৌঁছে দেবো।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর