
মানিকগঞ্জ মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে রোগী ও তার স্বজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বরত আনসার সদস্য নুর ইসলামের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আনসার সদস্য নুর ইসলামকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ক্লোজ করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের আন্দারমানিক বেড়িকাটা এলাকার আল আমীন হোসেনের স্ত্রী শেফালি আক্তার (২৫) ও শেফালি আক্তারের ভাবী (বড় ভাইয়ের স্ত্রী) মনি আক্তার (২৭)।
শেফালীর ভাবী মনি আক্তার জানান, শারীরিক দুর্বলতা ও ডায়াবেটিকস জনিত সমস্যার জন্য গতকাল শুক্রবার সকালে শেফালি আক্তারকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসা নিয়ে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। আজ বেলা ১১টার দিকে নারী ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে পুরুষ ওয়ার্ডের সামনে যায় এবং পুরুষ ওয়ার্ডের সামনের চেয়ারে বসে বিশ্রাম নেয় শেফালি। তখন আনসার সদস্য নুর ইসলামের সাথে শেফালি আক্তারের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ের শেফালীর ভাবি মনি আক্তার এগিয়ে আসলে আনসার সদস্য তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
এতে মনি আক্তারের হাত ও পায়ে জখম হয়। তখন শেফালি আক্তার প্রতিবাদ করলে আনসার সদস্য নুর ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে শেফালীর পেটে লাথি দিয়ে ফেলে দেয় এবং তাকে মারধর করেন। পরে তাঁদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তাদেরকে উদ্ধার করে নারী ওয়ার্ডে নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা হাসপাতালের ৪র্থ তলার নারী ওয়ার্ডের ১৬ বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এঘটনায় অভিযুক্ত আনসার সদস্য নুর ইসলাম জানান, এই বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট। উলটো রোগী ও তার স্বজনরা আমাকের মারধর করেছে। কিন্তু দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতির বিষয়ের কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি আনসার সদস্য নুর ইসলাম।
এবিষয়ে জেলা আনসার ভিডিপির প্লাটুন কমান্ডার আব্দুল কাদের বলেন, বিষয়টি জানার পর আনসার সদস্য নুর ইসলামকে তার দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হবে এবং দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর