
চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে বাড়ি থেকে নগদ টাকায় ধান বিক্রি করতে পেরে বেশ খুশি বগুড়ার নন্দীগ্রামের কৃষকরা। গত কয়েক বছর আগেও কৃষকদের কষ্টে ফলানো ধান উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে বিক্রি করতে হতো।
এখন প্রতটি গ্রামে ব্যাপারী গিয়ে দামদর করে কৃষকদের ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকদের সময় ও খরচ উভয়ই কমে গেছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণ ধানের দাম ১শ টাকা কমেছে বলে জানান কৃষকরা।
এ উপজেলার কৃষকরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে প্রতি মণ মিনিকেট ধান বিক্রি হয়েছে ১৪শ ৫০ টাকায়। সেই ধান এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩শ ৫০ টাকায়। এতে আগের চেয়ে প্রতি বিঘা জমি থেকে কৃষক দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা কম পাচ্ছেন। এবছর ইরি-বোরো ধানের ফলন বেশ ভালো। প্রতি বিঘা জমিতে ২৫-২৮ মণ হাওে ধান হচ্ছে।
উপজেলা দোহার গ্রামের কৃষক কৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, আগে বিভিন্ন হাটে নিয়ে গিয়ে ধান বিক্রি করা লাগতো। এখন বাড়ি থেকেই ধান বিক্রি করা যায়। গত সপ্তাহের চেয়ে ধানের দাম মণে ১শ টাকা কমে গেছে। এবার ধানের ফলন ভালো। তবে আগের চেয়ে ধানের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। তারপরও আবহাওয়া ভালো থাকলে ইরি ধানে ভালোই লাভ থাকবে।
ধানের ব্যাপারী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ধান কিনছি। হাট-বাজার ও গ্রাম থেকে কেনা ধানের বাজার প্রায় সমান। গ্রামে গিয়ে ঠিকি দেখে ধান কেনা যায়। এতে ঝামেলা কম হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, চলতি মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯ হাজার ৭শ ৭০হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ হয়েছে। ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়ে গেছে। ধানের ফলন ও দাম বেশ ভালো আছে। কৃষকরা এখন তাদের বাড়ি থেকেই ধান বিক্রি করতে পারে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর