কবি নজরুল কলেজে অনার্সের ভর্তি ফরমে ছাত্রলীগের চাঁদা আদায়

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৪, ১২:৫৭ এএম

সোহেল,

পুরান ঢাকার সরকারী কবি নজরুল কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির ফরমের পরে অতিরিক্ত একশ থেকে দুইশত টাকার চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রতি বছর এখানে প্রায় পাঁচ হাজার ফর্তির ফরম বিক্রি হচ্ছে। এতে অসন্তুষ্টি জ্ঞাপন করেছেন ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ কর্মীরা বলেন, প্রতিবছর এই কলেজের জনতা ব্যাংক থেকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রচুর অর্থের চাঁদা গ্রহন করে।

সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, কলেজ শাখার জনতা ব্যাংক সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা থাকলেও দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ব্যাংকটি বন্ধ করে রাখা হয়। পরে ব্যাংকের সামনে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ, ছাত্রলীগ কর্মী আকাশ, সজল, নাদিম ও আরিফ অতিরিক্ত টাকার মাধ্যমে রশিদ গুলো সংগ্রহ করে। ফরমের মূল্য তিনশত টাকা হলেও তারা কলেজে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত এক থেকে দুইশত টাকা গ্রহণ করছে। এছাড়াও সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কলেজ শাখার এই ব্যাংকের একটি বুথ থেকে প্রথমত তিনশত টাকা নেওয়া হলেও পরে ব্যাংকের কর্মচারীরা একশত টাকা গ্রহণ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, প্রতিবছর অর্নাস ভর্তি ফরম থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা করে চাঁদা তুলেন ছাত্রলীগের নেতারা। এবার তারা তুলবে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজে ভর্তি আসা দুইজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের কাছ থেকে জোর করে এই অর্থ নেওয়া হলো। আমরা কিছুই বলতে পারলাম না। ফোনে বাবা-মার সাথে কথা বলেই এই টাকা দেওয়া হলো। মনে হয় জোর যার মুল্লুক তার। এ প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নুরুন্নাহারকে মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসে নি। আসলে বিষয়টির সমাধান করা হবে।

এ সম্পর্কে কলেজ শাখার সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, আমি এই সম্পর্কে কিছুই জানি না। ১৫ থেকে ২০ দিন যাবত ক্যাম্পাসে আসি না। তবে এই বিষয়ে কলেজ শাখার সাধারন সম্পাদক রাকিবুল হাসান সোহেল বলেন, ফরহাদকে চিনি সে এবিষয়ে জড়িত ছিল না। তবে অন্যদেরকে আমি চিনি না।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: