তিন কারণে বিএনপির মন খারাপ

প্রকাশিত: ১৭ আগষ্ট ২০১৭, ০৫:৩৪ পিএম

তিনটা কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম এবং বিএনপির মন খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় মহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ চত্বরে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এসভার আয়োজনা করা হয়।

&dquote;&dquote;

প্রথম কারণ হচ্ছে, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে নতুন একটা ইস্যু খুজে পেয়েছে এবং বড় বলিস্ট ইস্যু মনে করে এখান থেকে ফায়দা লোটা যাবে, ব্যারিস্টার মওদুদ এ পরামর্শ দেয়ার পর বিএনপিতে শুরু হয়ে গেছে জগাই-মাধাই নৃত্য। এই বুঝি হারানো ক্ষমতা ফিরে আসছে। ক্ষমতা ফিরে পাবার আশা বিএনপির। আবারও শুরু করে দিল তাদের সেই পুরোনো খেলা। আজকে সেই স্বপ্ন কোন অবস্থায় এখন? সেই স্বপ্নের জমিন ক্রমেই মরুময় হয়ে যাচ্ছে। এজন্য মির্জা ফখরুলের মন খারাপ।’

দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, ‘গত ১৫ই আগস্ট ভোরে আরেকটা ১৫ই আগস্ট, আরেকটা ২১শে আগস্ট ঘটানোর জঙ্গিবাদী পরিকল্পনা, আত্বঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনা ৩২ নম্বরকে ঘিরে পন্ড হওয়ার পর বিএনপির মন খারাপ। আহারে কি হল, আবারও বেঁচে গেল শেখ হাসিনা? ৫০০ লোককে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল। ভেস্তে গেছে সে প্ল্যান আল্লাহর অশেষ রহমতে।’

‘তৃতীয় কারণ হচ্ছে, জন্মদিবসের কেক। বর্ন্যাতদের নাম নিয়ে মায়া কান্না দেখাচ্ছে। আসলে জনতার রোষের মুখে বাংলাদেশের কোথাও কেক কাটতে পারেননি। এটা হচ্ছে তৃতীয় কারণ। এখন বেসামাল, বেপরোয়া ড্রাইভারের মত চলছে রাজনীতির এ ড্রাইভার। কখন, কোথায় দুর্ঘটনা ঘটায় জানি না, সবাই সতর্ক থাকবেন, সজাগ থাকবেন।’

আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসিত করে, পুরস্কৃত করে কি পেয়েছেন? আমিতো বলি জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরুস্কৃত না করতেন, পুনর্বাসিত না করতেন তাহলে আরেকটা খুনিচক্র জিয়াউর রহমানকে হত্যার দুঃসাহস পেত না। খুন খুনকে ডেকে আনে।’

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের বিষয়ে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে গেলেন, তিনি যাবেন। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানমন্ত্রীকে যেতে হবে। আজকে দেশে ভয়াবহ বন্যা। এ পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সাথে কথা বলা জরুরি। রাষ্ট্রপতি চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। তার সাথে দেখা করা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব, কর্তব্য। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে সরকার এবং আমাদের পার্টির বক্তব্য তাকে অবহিত করা, এটা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব, কর্তব্য। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে আমিও আমাদের দলের অবস্থান মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রায়ের পর্যবেক্ষন নিয়ে আমাদের বক্তব্য মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছি। এখানে কে কাকে চাপ দিয়ে কি করছে, কোথা থেকে এ গুজব আসছে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে গিয়ে তারা জিজ্ঞেস করুক না। ষড়যন্ত্র নিজেরাই করে আর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে অন্যের বিরুদ্ধে। জনগণ না পেলেতো ষড়যন্ত্রের পথেই যাবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এদেশের জনগণের প্রতিনিধি, জনগণই আমাদের তাড়াতে পারবে। আর যাদের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়, তারাই একটা ইস্যু পেলে লাফালাফি শুরু করে দেয়। ৮ মিনিটের একটা আন্দোলন ৮ বছরেও পারেনাই, লজ্জা করে না? এত বড় দল, একটুও লজ্জা করে না? একমিনিটের জন্য রাস্তায় একটা বিক্ষোভ দেখাতে পারে না যে দল, ৮ বছরে তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি?

বিডি২৪লাইভ/এমআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: