‘কাদেরের বক্তব্য একতরফা নির্বাচনেরই ইঙ্গিতবহ’

প্রকাশিত: ২০ মে ২০১৮, ০২:১৭ পিএম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য জবরদস্তিমূলক একতরফা নির্বাচনেরই ইঙ্গিতবহ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার গভীর ষড়যন্ত্র। এই বক্তব্য জবরদস্তিমূলক একতরফা নির্বাচনেরই ইঙ্গিতবহ। বেগম খালেদা জিয়া যে কটি আসনে দাঁড়িয়েছেন তিনি কখনোই সেই নির্বাচনে পরাজিত হননি। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পরাজিত হয়েছেন। সেজন্য বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তায় প্রধানমন্ত্রীর এতো অসূয়া, এত বিদ্বেষ। আর এজন্যই বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে সরাতে এত ষড়যন্ত্র।

রোববার (২০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন- ‘বিএনপি আসুক না আসুক, যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, কে আসল আর না আসল তাতে কিছু আসে যায় না, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো বিএনপি নির্বাচনে না আসলে আমাদের কিছু করার নেই। তাছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক কি?’

রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মানেই জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক, খালেদা জিয়া মানেই বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া মানেই গণতন্ত্র। বেগম খালেদা জিয়া জনগণের সাথে কখনো প্রতারণা করেননি। জনগণের প্রতি যখন যে ওয়াদা করেছেন সেটি পালন করেছেন নির্দিধায়।

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি কি ভুলে গেছেন ৮৬ এর নির্বাচনের কথা, ১০ টাকা কেজি চালের কথা, ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার কথা? আমরা কাউকে মাইনাস করতে চাই না, কিন্তু যারা অন্যকে মাইনাস করতে চায় তারা প্রাকৃতিক নিয়মে নিজেরাই মাইনাস হয়ে যায়। সুতরাং আইন আদালতসহ সবকিছু কব্জা করে বেগম জিয়াকে জোর করে সাজা দিয়ে আপনাদের ক্ষমতার ঝাড়বাতির রোশনাই আর বেশি দিন থাকবে না।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। খালেদা জিয়া বিহীন কোন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যাবে না, যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এই মুহূর্তে বিএনপির ইশতেহার হচ্ছে- দেশনেত্রীর মুক্তি, জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়া এবং দল-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন। আপনার বক্তব্যে পরিস্কার হয়ে গেছে- বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাই আপনাদের ভয়, আর সেজন্যই আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে মিথ্যা তথ্যের ওপর সাজানো মামলায় তাঁকে কারাবন্দী করে রেখেছেন।

সারা দেশে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে মারণযজ্ঞ চলছে দাবি করে রিজভী বলেন, গত তিনদিনে চার জেলায় বিচার বহির্ভূত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ৭ জন। এই মাসে যেন পোকামাকড়ের মতো বিচার বহির্ভূত মানুষ হত্যার হিড়িক চলছে। গতরাতেও বরিশালে সাদা পোশাকের পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধের নামে দুজন নিহত হয়েছে। দেশিয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার উদ্বেগ জানালেও তাতে সরকারের টনক নড়ছে না। আমি অবিলম্বে বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচার বহির্ভূতভাবে মানুষ হত্যা বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই সরকারের আমলে সংঘটিত সকল বিচার বহির্ভূত হত্যার তদন্ত দাবি করছি।


বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: