নতুন ছক আঁকছে ইসি
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গাজীপুর সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য নতুন ছক আঁকছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
আর তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য এবং ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ দিতেও বদ্ধপরিকর ইসি।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন ভোটের অভিজ্ঞতার ‘ত্রুটি ও ঘাটতি’ পর্যালোচনা করে আমরা নতুন নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছি। এ নির্বাচনে ইসির অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের টিম করে পাঠানো হবে। ব্যাপক আকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করারও পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে আগের যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, সব দলকে সমান সুযোগ দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যা প্রয়োজন হবে নির্বাচন কমিশন তাই করবে। সংসদ নির্বাচনের আগে গাজীপুরকে আমরা টার্গেট করছি। এ নির্বাচন হবে রোল মডেল।
গাজীপুর সিটির প্রার্থীদের নিয়ে এ কমিশনার বলেন, গাজীপুরে সব দলের প্রার্থী হেভিওয়েট। তবে বড় দুই দলের প্রার্থী অনেক শক্তিশালী। এ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।
খুলনা সিটিতে ভোট পড়া নিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, খুলনায় কেন কম ভোট পড়ল কোনো কেন্দ্রে, আবার কেন বেশি ভোট পড়ল তা রিভিও করেছি। কোথাও কোথাও কিছু যে ত্রুটি-ঘাটতি আমাদের মধ্যে ছিল না তা বলা যাবে না। পুরো পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মধ্যেও কিছু অসন্তুষ্টি রয়েছে। এজন্যে যেসব বিষয়ে ঘাটতি ছিল তা আগামীতে দূর করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আমরা একমত হয়েছি। তবে ওভারল বলতে গেলে খুলনায় অনেক ভালো ভোট হয়েছে। ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে ১৮ জুন থেকে প্রচারণা করতে পারবেন গাজীপুর সিটির প্রার্থীরা। প্রচারণায় সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া হবে বলে জনিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭ মেয়র, ২৫৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৮৪ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), বিএনপি মনোনীত হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ), ইসলামী ঐক্য জোটের ফজলুর রহমান (মিনার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন (হাতপাখা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন (কাস্তে) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ (টেবিল ঘড়ি) প্রতীক নিয়ে ভোটে লড়বেন।
সূত্র জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জন নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন রাখা হবে। তবে কমিশন রিজার্ভে আরও নিরাপত্তা সদস্য রাখার পরিকল্পনা করছে।
পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাবের টিম এবং বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হবে। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের দুই দিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে একদিন মিলিয়ে চার দিন মাঠে থাকবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মোট আয়তন ৩২৯ দশমিক ৫৩ বর্গকিলোমিটার। ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৯টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন ও মহিলা ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২৫টি। ভোট কক্ষ ২ হাজার ৭৬১টি।
জানা যায়, এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গাজীপুরের ভোট স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। আপিল বিভাগ ওই আদেশে ১০ মে স্থগিত করে এবং ২৮ জুনের মধ্যে ভোটের কথা বলেছে। এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে ইসিকে। ৩১ মার্চ গাজীপুরের তফসিল হয়। ১৫ মে ভোট হওয়ার কথা ছিল। এর ৯ দিন আগে তা স্থগিত করেন আদালত।
বিডি২৪লাইভ/এএইচআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: