রাত জেগে মোবাইল ব্যবহার করলে কী হয়?

প্রকাশিত: ২২ মে ২০১৮, ১১:২৫ এএম

রাতের নিস্তব্ধতার সৌন্দর্য অন্য রকম, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। পড়ালেখার জন্য কারও কাছে রাতটাই প্রিয়, কেউ হয়তো গভীর রাতে বসে লিখে ফেলছেন গান-গল্প-কবিতা। কোনো এক উঠতি তরুণ বিজ্ঞানী হয়তো রাত জেগে জটিল সমীকরণের সমাধান খুঁজছেন। তাদের কথা ভিন্ন। কিন্তু নিতান্তই ‘অকারণ’ রাতজাগায় অভ্যস্ত, এমন তরুণের সংখ্যাও কম নয়। যারা অনলাইন চ্যাট, মোবাইলিং করেই রাত জাগে এবং দিনের অর্ধেক কাটিয়ে দেয় ঘুমিয়ে।

বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোন আমাদের নিত্য সঙ্গী। দিনে তো বটেই রাতেও অনেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। পরিসংখ্যান বলছে ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ রাতে বালিশের পাশে মোবাইল ফোন রেখে ঘুমান। আর ঘুম না আসা পর্যন্ত ফোনের ব্যবহার তো থাকছেই। আর এই করতে করতে কখন যে রাত পেরিয়ে যায়, সেদিকে নজর থাকে না বেশিরভাগের।

আপনিও কি এমনটা করেন? যদি করেন তাহলে আজ থেকেই বন্ধ করুন এই অভ্যাস। রাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে কী কী ক্ষতি হয় তা জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক বোল্ডস্কাই। এক নজরে দেখে নিন ক্ষতিকর সেই দিকগুলো।

১. মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়

ঠিক মতো ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তি কমে পায়। শুধু তাই নয় ব্রেনে রক্ত প্রবাহে নানা বাধা আসে। ফলে মস্তিষ্কজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

২. ঘুম কমে যায়

মোবাইল ফোনের আলো বিভিন্ন ভাবে শরীরে মেলাটনিন হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে সহজে ঘুম আসতে চায়।

৩. দৃষ্টিশক্তি কমে যায়
অন্ধকারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তার নীল আলো সরাসরি চোখের ওপর পরতে থাকে। যে কারণে চোখে সমস্যা হতে পারে। আর দীর্ঘদিন এই কাজ করলে এক সময়ে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে

৪. রেটিনা খারাপ হতে শুরু করে

অন্ধকারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তার নীল আলো রেটিনার কর্মক্ষমতা কমাতে শুরু করে। দীর্ঘ দিন ধরে যদি এমনটা চলতে থাকে তাহলে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

৫. ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে

মোবাইলের নীল আলোর কারণে শুধু মেলাটোনিন হরমোন নয়, সেই সঙ্গে আরও সব হরমোন ক্ষরণে বাধা আসে। ফলে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয়। যা ক্যান্সার রোগে, বিশেষ করে ব্রেস্ট এবং প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়।


বিডি২৪লাইভ/এমআরএম
 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: