‘কাজ করলেই সালাম পাবেন, পদ লাগবে না’

প্রকাশিত: ২২ মে ২০১৮, ০৬:৩৩ পিএম

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা যৌক্তিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘তখন গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হতে পারে।’

মঙ্গলবার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির সাবেক নেতা এম. শামসুল ইসলাম ও জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের স্মরণসভায় তিনি প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তদবির ও তোষামোদ করে পদ পাওয়া যায় কিন্তু জনগণের সালাম পাওয়া যায় না এমন মন্তব্য করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুতরাং কাজে নেমে পড়ুন। কাজ করলে সালাম পাওয়া যাবে। তাতে পদ লাগবে না।’

‘দেশের গণতন্ত্রের মুক্তি আর খালেদা জিয়ার মুক্তি একই কথা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান আইন-আদালত প্রশাসনের উপর বিশ্বাস করা যায় না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হবে। অন্যথায় ইন্ডিয়া ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় বসাবে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘শেখ হাসিনা অনেক শক্তিশালী সেটা আমি মনে করি না। তবে তার পেছনে যে শক্তি কাজ করে অনেকে বলেন ইন্ডিয়ার কথা। তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক সম্পর্ক করার কথাও বলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা আর ইন্ডিয়ার মধ্যে তো ভালো সংসার চলছে। সেই সংসারে ভাঙানি দেয়া কি ঠিক হবে? সেই চেষ্টার থেকে বড় চেষ্টা হওয়া উচিত ভারতকে পরিষ্কার করতে হবে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সম্মান করে কি না? তারা মনে করে কি না যে বাংলাদেশের মানুষ এই দেশের মালিক। যদি সেটা মনে করে তাহলে দেশের মানুষের সব থেকে অপছন্দের মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করার কাজ থেকে তাদের বিরত থাকা দরকার। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে কিন্তু তাই বলে খবরদারি কেন করবে?’

‘আমাদের দেশের সরকার কে হবে তা জনগণ পছন্দ করবে। ভারতের সরকার তো সে দেশের জনগণ পছন্দ করে। সেটা তো শেখ হাসিনা পছন্দ করে দেয় না। তাই ভারতকে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে তারা তাদের নীতি পরিবর্তন করবে কি না।’

একই স্মরণ সভায় দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘কোনো ভাবেই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার তার পতন ঠেকাতে পারবেন না।’

‘আজকের এই স্মরণ সভায় উপস্থিত আপনারা (নেতাকর্মীরা) যদি দিন-তারিখ নিতে চান আমি বলে দিতে পারি খুব বেশি হলে ডিসেম্বর না হলে জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি (হাসিনা) ক্ষমতায় থাকবেন। এক আল্লাহ ছাড়া তার ক্ষমতা রক্ষা করার আর কেউ নাই, কোনো শক্তি নাই, তার পতন হবেই। পুলিশ প্রশাসন দিয়ে কোনো কাজ হবে না।’

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সাংসদ আহসান হাবীব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: