কিশোরগঞ্জে জেলা মনিটরিং কমিটির বাজার পরিদর্শন

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৮, ১২:৫৭ এএম

রমজান মাসে ভোক্তা সাধারণের প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এমনকি ভোক্তাদের নিকট হতে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী মূল্যে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করা হয়ে থাকে। এ পরিস্থিতিতে রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখা এবং ভোক্তা অধিকার বিরোধী কর্মকাণ্ড যাতে পরিচালিত হতে না পারে সে লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, কিশোরগঞ্জ নিবিড়ভাবে বাজার মনিটরিং শুরু করেছে।

তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২২ মে) কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল সরেজমিনে বাজার পরিদর্শনে যান। সকালে তিনি শহরের কাচারি বাজার পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি বাজারের প্রতিটি দোকানে গিয়ে দ্রব্যের সবরবাহ, মজুদ ও মূল্যের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। এছাড়া তিনি উপস্থিত ক্রেতাদের সাথে কথা বলেন এবং দ্রব্যমূল্য যাতে স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের কঠোর নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি কোনভাবেই যাতে ভেজাল দ্রব্য বিক্রয় করা না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

বাজার তদারকির সময় এডিসি জেনারেলের সাথে কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আলম সারওয়ার টিটু, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কিশোরগঞ্জ এর প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম, ভারপ্রাপ্ত জেলা বাজার কর্মকর্তা শিখা বেগম, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমের কর্মীবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে কিশোরগঞ্জ শহরের দুটি বাজার পরিদর্শন করেছে জেলা মনিটরিং কমিটি। মঙ্গলবার বিকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হুছাইন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে মনিটরিং কমিটি প্রথমে পুরানথানা বাজার পরিদর্শন করে। সেখানে তারা বিভিন্ন পণ্যের মূল্য তালিকা প্রকাশ্যে টানানো রয়েছে কিনা, পণ্যের মূল্য কোন পর্যায়ে রয়েছে, পণ্যের মান সঠিক রয়েছে কিনা, ওজন কারচুপি করা হচ্ছে কিনা, এসব বিষয়ে খোঁজখবর নেন। মুদি পণ্যসহ কাঁচা বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দোকানে দোকানে গিয়ে বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তারা বেগুনের কেজি ৫০ টাকার বেশি না রাখার নির্দেশ দেন।

মনিটরিং কমিটির সদস্যগণ বড়বাজারও পরিদর্শনে যান। সেখানেও তারা একই বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন। একটি গুড়ের দোকানের পেছনে পঁচা গুড়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে পাটা গুড় তৈরির অপরাধে মালিক নারায়ণ সাহাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্য একটি দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রাস্তা থেকে বিভিন্ন দোকানের মালামাল এবং অস্থায়ী দোকানও সরিয়ে দেয়া হয়। তারা ফল এবং মাছ বাজারও পরিদর্শন করেন।

&dquote;&dquote;কমিটির সদস্যগণ ব্যবসায়ীদেরকে সততার সঙ্গে ব্যবসা করার পরামর্শ দেন। দোকানের দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখা, কেউ যেন মাত্রাতিরিক্ত দাম রাখতে না পারেন, ভেজাল পণ্য বিক্রি করতে না পারেন, সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে মনিটরিং কমিটির সদস্যগণ সবাইকে হুশিয়ার করে দিয়েছেন। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে বলেও তারা জানিয়ে দিয়েছেন।

এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকলিমা বেগম, জেলা মনিটরিং কমিটির সদস্য জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মোস্তফা কামাল, কমিটির সদস্য জেলা ক্যাব সভাপতি আলম সারোয়ার টিটু, সদর থানার ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত, বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান এবং পুরানথানা বাজার কমিটির সভাপতি লায়েক আলীও উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: