যে ৫টি লক্ষণে বুঝবেন আপনার বিয়ে টিকবে না

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৮, ১০:১৬ এএম

কিছু কিছু বিষয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ স্বামী-স্ত্রী দু’জনের মাঝে খুব সহজেই ফাটলের সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো- শারীরিক সম্পর্ক।

আপাতদৃষ্টিতে এই বিষয়টিকে তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে না হলেও সেক্স থেরাপিস্টরা জানিয়েছেন, সুস্থ যৌন জীবন বিবাহিত জীবনের জন্য খুবই জরুরি। তারা এটি নিয়ে এমন কিছু কিছু লক্ষণের কথা বলেছেন, যে লক্ষণ গুলো দম্পতির মাঝে দেখা দিলে বুঝতে হবে তাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন।

চলুন জেনে নিই, সেই লক্ষণ গুলো সম্পর্কে-

১. দম্পতির মাঝে শারীরিক সম্পর্ক নেই

সেক্স থেরাপিস্ট সারি কুপার জানিয়েছেন, বছরে ১০ বারের কম যৌন সম্পর্কে আবদ্ধ হন এমন সম্পর্ককে ‘সেক্সলেস রিলেশনশিপ’ বলে ধরা হয়। এ ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে গভীর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। অনেক সময় তারা শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে কোনো কথাই বলেন না। ফলে তাদের মাঝে দূরত্ব বাড়তেই থাকে। একটা সময়ে সম্পর্ক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কোনো উপায় থাকে না। খবর হাফিংটন পোস্ট।

২. দুজনের মাঝে একজন কোনো আকর্ষণ বোধ করেন না

সেক্স থেরাপিস্ট লরি ওয়াটসন জানিয়েছেন, সঙ্গী তার প্রতি কোনো আকর্ষণ বোধ করছেন না- এমন ভাবনাটা সাধারণত সম্পর্ক তেতো করে তুলতে যথেষ্ট। বিশেষ করে নারীর জন্য এ ব্যাপারটি বেশি প্রযোজ্য।

৩. সম্পর্কে অবিশ্বাসের সৃষ্টি

বর্তমানে পরকীয়া অপরিচিত কোনো বিষয় নয়। অনেক সময়ই পরকীয়া করতে গিয়ে সঙ্গীর হাতে ধরা পড়েন অনেকে। এতে বিশ্বাস ভেঙে যায় এবং সেই বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে অনেক সময় ও শ্রম দিতে হয়। অনেক সময়ে যৌন জীবনে অসন্তুষ্টি থেকেই পরকীয়ার পথে পা বাড়ান বিবাহিত মানুষ। এদিক থেকে বোঝাপড়ার অভাব মেটাতে পারলেই কেবল অবিশ্বাস দূর করা সম্ভব হয়।

৪. সম্পর্কের মাঝে কোনো শারীরিক আকর্ষণ নেই

সেক্স থেরাপিস্ট মৌসুমি ঘোষ বলেন, মানুষ দীর্ঘ সময় একত্রে জীবন কাটানোর জন্যই বিয়ে করে। এক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি আকর্ষণ বোধ না করলে সম্পর্ক টেকে না।

৫. অসুস্থতার কারণে দূরত্ব তৈরি হয়

যৌন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন কারণে দম্পতির মাঝে দূরত্ব তৈরি হয়। এছাড়া মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার কারণেও দূরত্ব তৈরি হতে পারে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের সহায়তা ছাড়াও দম্পতিদের পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকা জরুরি। না হলে এই অসুস্থতার অজুহাতে সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: