দুই বছর ধরে নিজ মেয়েকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০১৮, ০৭:২২ পিএম

জন্মদাতা পিতার হাতে দিনের পর দিন নির্যাতন সইতে না পেরে অবশেষ থানায় আশ্রয় নেন অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ছাত্রী যে অভিযোগ এনেছেন সেটা হয়তো কোন পিতা কোন দিন শুনতে চাইবেন না।

গত মঙ্গলবার (২২ মে) সকালে নিজ বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী। ইতোমধ্যে ধর্ষক আনোয়ার শাহাদাৎ ওরফে শিশির (৩০) নামের পাষণ্ড বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ইমতিয়াজ ভুঁইয়া বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আসামিকে প্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদ ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। পরে আদালদের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’

ধর্ষিতা ও তার মায়ের (সৎ) বরাতে পুলিশকে জানিয়েছে, লিচুবাগান এলাকার একটি ভাড়া বাসায় প্রায় দুই বছর ধরে নিজ মেয়েকে জোরপূর্বক নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে আসছে অভিযুক্ত বাবা শিশির। শিশির নামের ওই পাষণ্ডের আরও দুইজন বউ রয়েছে।

ধর্ষক শিশির নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার মাইজদীর রাজগঞ্জ এলাকার মৃত এনামুল হক সেলিমের ছেলে। বর্তমানে সে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় ‘ম্যাস্ট বুকস অ্যান্ড স্টেশনারি’ নামের একটি লাইব্রেরি পরিচালনা করে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, লম্পট শিশির ধর্ষিতার মাকে নরসিংদী থেকে বিয়ে করে। তাদের ঘরে রয়েছে তিনটি মেয়ে সন্তান। কয়েক বছর আগে বড় বউকে তাড়িয়ে দিয়ে দিনাজপুরের রুমা আক্তারকে বিয়ে করে সে। এসময় রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনার ভাড়া বাসায় বাবার সাথে থাকতো তার প্রথম ঘরের মেয়েটি। সে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় রাইজিং সান কেজি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

বছর না ঘুরতেই শিশির তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে মাগুরা থেকে এক নারীকে বিয়ে করে নিয়ে আসে। এর মধ্যে গত প্রায় দুই বছর ধরে নিজ মেয়েকে জোরপূর্বক নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে আসছিলে শিশির। গতকাল শিশিরের তৃতীয় স্ত্রী ও ধর্ষিতা এ ঘটনা এলাকাবাসীকে জানায়।

এ ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পরপরই স্থানীয় জনতা শিশিরকে আটক করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: