বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্যা 

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০১৮, ০৭:৩৯ পিএম

মাদকবিরোধী অভিযানে দিন দিন বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্যা। গত তিন সপ্তাহে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০ জন। তবে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে এ অভিযানে ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকবে মূল হোতারা।

প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা বলেছেন, মাদকবিরোধী অভিযানে শক্ত ভূমিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বছর অন্তত তিনটি বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার কথা বলেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় এ অভিযান চলছে।

তিনি আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এবং মূল হোতারাও এ অভিযান থেকে ছাড়া পাবেন না।

জানা যায়, অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রথম ২২ দিনে প্রায় ২ হাজার ৩০০ জনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬০০ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে মোট ৪৮৬টি মামলা করা হয়।

র‌্যাব জানায়, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গা রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ভাবেই এদের গ্রেফতার ও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অভিযানে নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসা ও মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত এবং চিহ্নিত অপরাধী। এছাড়া তাদের প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় এক বা একাধিক মামলা রয়েছে বলেও দাবি করে র‌্যাব।

তবে গত মঙ্গলবার সন্দেহভাজন ভাবে চুয়াডাঙ্গায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত কামরুজ্জামান সাজুর স্ত্রী নাসরিন খাতুনের দাবি, তার স্বামীর কাছে কখনও কোনো ধরনের অস্ত্র ছিল না।

তিনি বলেন, আমার স্বামী কখনো কোন পিস্তল চোখেই দেখে নাই, সাথে রাখা তো অনেক দূরের কথা।

চুয়াডাঙ্গার কোতোয়ালি থানার সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবীব গণমাধ্যমদের জানান, মাদক চোরাচালানের খবর পেয়ে তারা যখন গ্রেফতার অভিযান চালাতে যায়, তখন অভিযুক্তরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ অবস্থায় পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এ কারণেই এই নিহতের ঘটনা ঘটেছে।


বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: