তাসফিয়ার বাবাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া সেই আসিফ রিমান্ডে

রিমান্ডে আছেন চট্টগ্রামে আলোচিত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিনকে ৩০ মিনিটের মধ্যে তার বাবার কাছ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া আসামি ওয়াহেদ বিন আসলাম ওরফে আসিফ মিজান।

‘গত ১ মে রাত ৯টায় আদনানের ফোন পেয়ে গোলপাহাড় মোড়ের চায়না গ্রিলের সামনে আসি। পরে ঘটনা সামলাতে না পেরে ‘বড়ভাই’ একরাম ও ফিরোজকে নিয়ে আসি। সবাই মিলে তাসফিয়ার বাবাকে বুঝিয়ে রাত ১১টার দিকে তারা ৩০ মিনিটের মধ্যে তাসফিয়াকে হাজির করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আদনানকে ছাড়িয়ে নিয়ে তার বাসায় পৌঁছে দি। পরদিন জানতে পারে তাসফিয়ার মরদেহ পতেঙ্গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে’- প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এসব তথ্য দিয়েছেন ২৩ মে দিবাগত রাতে নগরের পাঁচলাইশ এলাকায় গ্রেফতার হওয়া তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আসিফ মিজান।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কর্ণফুলী জোন) জাহেদুল ইসলাম জানান, আসিফ মিজানকে গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে।

এদিকে শুক্রবার (২৫ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান খানের আদালত আলোচিত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আসিফ মিজানের (১৮) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পতেঙ্গা থানা পুলিশ আসিফ মিজানকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী।

এর আগে ১ মে বিকেলে সানসাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়া আমিন (১৬) নগরীর ওআর নিজাম রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে গোলপাহাড় মোড়ে চায়না গ্রিল নামে একটি রেস্টুরেন্টে বন্ধু আদনান মির্জার (১৬) সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। পরে ২ মে সকালে স্থানীয়দের খবরে নগরের পতেঙ্গার ১৮ নম্বর ব্রিজঘাট পাথরের ওপর থেকে তাসফিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় তাসফিয়ার বাবা বাদী হয়ে আটক আদনান মির্জাকে প্রধান আসামি করে পতেঙ্গা থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে গত ২ মে সন্ধ্যায় নগরের খুলশী থানার জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে পুলিশ তাসফিয়ার বন্ধু আদনানকে আটক করে।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র শওকত মিরাজ, এইচএসসি পরীক্ষার্থী আসিফ মিজান, আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির ছাত্র ইমতিয়াজ সুলতান ইকরাম এবং কথিত যুবলীগ নেতা মো. ফিরোজ ও তার সহযোগী সোহায়েল ওরফে সোহেল।

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর