তিন সিটির সঙ্গে কুড়িগ্রামেও ভোট

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০১৮, ০১:২৮ পিএম

রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে সঙ্গে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপনির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঈদুল ফিতরের আগে তফসিল দিয়ে জুলাইয়ের ২৪ অথবা ২৫ তারিখ এসব ভোট করার পরিকল্পনা করছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানায়, গত ১৬ মে তিন সিটি কর্পোরেশন নিবাচন পরিচালনার জন্য এলাকাগুলোর ভোটার তালিকা সিডি এবং ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করতে আদেশ জারি করেছে কমিশন। এর পর থেকে তিন সিটির কার্যক্রম দ্রুত শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কমিশন বৈঠক করে তফসিল ও ভোটের চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করবে।

সূত্র জানায়, তিন সিটির সঙ্গে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপনির্বাচন একই দিনে করতে চায় নিবাচন কমিশন। ইসির কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, তিন সিটি কপোরেশনের সঙ্গে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের নির্বাচনের তফসিল ঈদের আগে দিয়ে জুলাইয়ের ২৪ অথবা ২৫ তারিখ ভোট করা যায়। তবে কোন কারনে সম্ভব না হলে জুনের ১৯ তারিখে তফসিল দিয়ে জুলাইয়ের ২৪ তারিখ ভোটগ্রহণ করা যায়।

ইসির কর্মকর্তারা বলেন, মূলত ভোটগ্রহণ পর্যন্ত ৪০-৪৫ দিন হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা করে কমিশন। সে ক্ষেত্রে ঈদের আগে সিটিগুলোর তফসিল দিতে হবে ইসিকে। এ কারণে ইসিতে তিন সিটি ভোটের তোড়জোর চলছে।

এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সংসদ নির্বাচনের আগে চলতি বছর জুলাইয়ের মধ্যে সব সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন করা হবে। সে অনুযায়ি ইসি ২৪ অথবা ২৪ জুলাই ভোট করার পরিকল্পনা করেছে। তাছাড়া আগস্ট থেকে জাতীয় নির্বাচনের অগ্রাধিকারমূলক কাজের চাপ থাকবে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে তফসিলের আয়োজন চলবে। তাই জুলাইয়ের মধ্যে সব সিটি নির্বাচনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দুই দলের লড়াই হবে সিটির ভোটের মাঠে। জনপ্রিযতা যাচাইয়ে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় সবার নজর থাকছে সিটি ভোটের দিকে। সংসদ নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক দলগুলো। নৌকা ও ধানের শীর্ষের মধ্যে জনগণের কাছে কোন প্রতীকের কেমন কদর তার প্রমাণ হবে এ নির্বাচনে।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে যেকোনো সময় ভোটগ্রহণ করতে হবে। তিন সিটি করপোরেশনের মধ্যে রাজশাহী সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর। আইন অনুযায়ী এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৫ অক্টোবর। গত ৯ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে। আর ৫ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।

সিলেট সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৮ অক্টোবর। গত ১১ এপ্রিল এই সিটির নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে।

বরিশাল সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর। আইন অনুযায়ী এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৩ অক্টোবর। ২৭ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে। আর ২৩ অক্টোবরের মধ্যে করতে হবে নির্বাচন।


বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: