বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান নীরিহ সংখ্যালঘুদের ফাঁসিয়ে চলেছেন

প্রকাশিত: ২৩ আগষ্ট ২০১৪, ০৫:৪৪ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসানের বিরুদ্ধে ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় একটি সংখ্যালঘু পরিবার।
শুক্রবার বিকাল ৫ টায় বেনাপোল বন্দর প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ পড়ে শোনান পাঠবাড়ি গ্রামের শ্রী রঞ্জন দাশের স্ত্রী অনজু রানী দাস।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সন্ত্রাসীর গডফাদার আকুল ও তার পৌষ্য ওসি অপুর্ব হাসানের কুকীর্তি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করছি। বক্তব্যে বলেন, গত রবিবার ১৭ আগষ্ট/১৪ বিকালে আমার পুত্র শ্রী মিলন দাস বিশেষ প্রয়োজনে বেনাপোল বাজারে আসছিল। সন্ধ্যা ৭টার সময় বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে বাজারের পাশেই বাহাদুরপুর রোডে স্ব-মিলের নিকট পৌছা মাত্র সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান আকুলসহ তার বাহিনীর ১৫/২০জন ক্যাডার আমার পুত্র মিলন দাসের উপর আকস্মিক হামলা চালায়। মৃত ভেবে ফেলে গেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বেনাপোলের রজনী ক্লিনিকে ভর্তী করে। এসকল সন্ত্রাসীরা জানতে পেরে তাদের পাহারায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ওসি অপুর্ব হাসান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয় এবং উন্নত চিকিৎসার নাম করে আমার পুত্র মিলন দাসকে নাভারন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাবার কথা বলে। এ অবস্থায় আমি আমার পুত্রের সাথে যেতে চাইলে ওসি আমাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেয়। রাতে খবর নিয়ে জানতে পারি ওসি অপুর্ব হাসান নাভারন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে না নিয়ে আমার আহত পুত্রকে যশোর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। পরে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল-হাজতে পাঠায়।
তিনি বলেন, আমি সাংবাদিক ভাইদের লিখনীর মাধ্যমে জানতে চাই, আমার পুত্র মিলন দাসের কি অন্যায় ছিল। তাকে এভাবে পেটানো হল কেন এবং বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ওসি অপুর্ব হাসানের এমন কি স্বার্থ ছিল যে আমার গুরুতর জখমী ছেলেকে তিনি চিকিৎসা না করিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসালো।
তিনি বলেন, আমার ছেলে মিলন দাস উপজেলা ছাত্রলীগের সাংস্বৃতিক বিষয়ক সম্পাদক। রাজনৈতিক কোন্দলের জের ধরে একটি পক্ষের সাথে অবৈধ সখ্যতা রক্ষা করতেই ওসি আমার ছেলের সাথে এ আচারণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, এদিকে আমার পরিবারের পক্ষ থেকে যাতে এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হয় সেজন্য সন্ত্রাসী আকুলসহ তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে হুমকি দিয়ে চলেছে। বলেছে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আমাদের স্বপরিবারে হত্যা করা হবে।
অবশেষে তিনি বলেন, আমি বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসানের এহেন কর্মকান্ডের বিচার, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্তি ও আমার নির্দোশ ছেলের মুক্তি প্রার্থনা করছি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: