জেনে নিন জবা ফুলের স্বাস্থ্যকারী উপকারিতা

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০১৫, ০৮:৫৬ পিএম

উদ্ভিদের নাম : জবা।

স্থানীয় নাম : জবা।

ভেযজ নাম /বৈজ্ঞানিক নাম : Hibiscus rosa-Sinensis Linn(হিবিসকাস রোজা-সিনেনসিস লিন)।

ব্যবহার্য অংশ : ফুল, পাপড়ি ও গাছের ছাল।

রোপণের সময় : বর্ষাকাল।

উত্তোলণের সময় : বছরের যে কোন সময় সংগ্রহ করা যায়।

চাষাবাদের ধরণ : গাছের ডাল বর্ষা কালে স্যাঁত স্যাঁতে মাটিতে রোপন করতে হয়।

আবাদী/ অনাবাদী/ বনজ : আবাদী ও অনাবাদী বনজ সব ধরনের হয়ে থাক। তবে বসত বাড়ির শোভা বর্ধনে গাছ রোপন করা হয়।

উদ্ভিদের ধরণ : এটি একটি ঝোপ জাতীয় গাছ। সাধারণত: সাত আট ফুট উচ্চতায় হয়ে থাকে। এর ফুল নানা রঙ্গের হয়ে থাকে । জবা ফুল ঠোঙ্গা আকৃতি, পঞ্চমুখি ও থোকা আকারের হয়ে থাকে।

ঔষধি গুণাগুণ : জবা ফুলে নানা ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে। বমনের প্রয়োজনে, অনিয়মিত মাসিকের স্রাব, মাসিক ঋতুর অতিস্রাবে, চোখ উঠা, মাথায় টাক পোকা, হাতের তালুতে চামড়া উঠা ইত্যাদি রোগে ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে।
ব্যবহার :

১. বমি করতে চাইলে: হঠাৎ কোন কুখাদ্য খাওয়া হয়ে গেলে, যেটা খেতে অভ্যস্থ নয়, যাকে বলা হয় অসাত্ম্য দ্রব্য, যেমন অজান্তে মাছি, চুল অথবা এই ধরনের কোন জিনিস পেটে গিয়েছে, এর পরিণতিতে বমির উদ্রেগ হয়, অথচ বমি হচ্ছে না; এক্ষেত্রে ৪/৫ টি জবা ফুল নিয়ে বোঁটার সঙ্গে যে সবুজ ক্যালিকাস অংশ থাকে, এই অংশ টাকে বাদ দিয়ে ফুল অংশটাকে পানি ও চিনি পরিমাণমত দিয়ে চটকে সরবত করে দিনে ২/১ বার খেলে বমি হয়ে পেট থেকে ওগুলি সব বেরিয়ে যাবে।

২. ঘন ঘন প্রস্রাব : যারা প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে আবার ঘন ঘন প্রস্রাব করে অথচ ডায়াবেটিস রোগী নয়, এই ক্ষেত্রে জবা গাছের ছালের রস এক কাপ পানির সাথে পরিমাণমত চিনিসহ মিশিয়ে ৭/৮ দিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৩. অনিয়মিত মাসিকের স্রাব : দুই এক দিন একটু একটু হয়, আবার সময় হয়ে গিয়েছে আদৌ হয়না আবার হয়তো এক মাস বন্ধ হয়ে থাকলো, এ ক্ষেত্রে দু তিনটি পঞ্চমুখী জবা ফুলের কুঁড়ি ও ৩/৪ ইঞ্চি দারুচিনি আধা অথবা এক গ্রাম এক সঙ্গে বেটে সরবত করে কয়েকদিন খেতে হয়। রসের সাথে এক গ্লাস পরিমাণ পানি মিশিয়ে সকালে কিছু খাওয়ার পর ঋতুকালীন সময়ে দিনে একবার করে ৩/৪ দিন মাসিক স্বাভাবিক হওয়া অবধি খেতে হবে।

৫. টাক পোকা রোগ : চুল স্বাভাবিক আছে অথচ ফাঙ্গাসে কিছু জায়গা চুল উঠে টাক হয়ে গেছে এ অবস্থায় জবাফুল বেটে ওখানে লাগালে কিছু দিনের মধ্যে চুল উঠে যাবে। এক /দুইটা ফুল বেটে ৭/৮ দিন যে কোনো সময় লাগাতে হবে এবং দুই/এক ঘণ্টা রাখতে হবে অথবা যতক্ষণ সম্ভব রাখতে হবে।

৬. চোখ উঠা : চোখের কোণে ক্ষত হয়ে পুঁজ পড়ছে। সে ক্ষেত্রে জবা ফুল বেটে চোখের ভিতরটা বাদ দিয়ে চোখের উপর ও নিচের পাতায় গোল করে লাগিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়। দিনের যে কোনো সময় এক /দুইটা ফুল বেটে ৭/৮ দিন লাগাতে হবে এবং এক ঘন্টা রাখতে হবে।

৭. হাতের তালুতে চামড়া উঠা : শীত কালে হাতের তালুতে চামড়া উঠে খসখসে হয়ে গেলে জবা ফুল তালুতে মাখলে খুব উপকার পাওয়া যায়। দিনে দুই তিন বার এক /দুইটা ফুল হাতের মধ্যেই ডলে ডলে লাগাতে হবে । লাগিয়ে স্বাভাবিক কাজ কর্ম করা যাবে। যতক্ষণ সম্ভব রাখতে হব

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: