শাপলা চত্বরের ২ বছর!

প্রকাশিত: ০৫ মে ২০১৫, ০৫:৪৯ পিএম

ভয়াল ৫ই মে আজ। ২০১৩ সালের এই দিনে রাজধানীর শাপলা চত্বরে সারাদেশ থেকে আগত হেফাজতে ইসলামের লাখ লাখ আলেম-ওলামার উপর রাতের আঁধারে ঝাঁপিয়ে পড়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা।

সেই রাতে গুমান্ত আলেমদের উপর চালানো হয় পৈশাচিকতা। ওই দিনে নিহতদের সঠিক হিসাব আজও পাওয়া যায়নি।৫ মে ২০১৩ রাতে শাপলা চত্বরে জড়ো হওয়া ইসলামপ্রেমীদের উপর চলে নির্মম হত্যাযজ্ঞ। ৫ মে কালো রাত্রে কি ঘটেছিল তা প্রচার করেছে দেশী বিদেশী নানা মিডিয়া।

১৩ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা অবরোধের ডাক দেয় হেফাজতে ইসলাম। রাজধানী মতিঝিলের শাপলা চত্বরকে ঘিরে ৫ মে হেফাজতে ইসলাম এর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে মধ্যরাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অন্ধকার রাতে ঝটিকা অভিযান চালায় র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি’র ১৫ থেকে ২০ হাজার সদস্য।

দৈনিক বাংলা ও ফকিরাপুল মোড়সহ তিন দিক থেকে অপারেশন শুরু করা হয়। পরে একযোগে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে অসংখ্য গুলি, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিয়ে নৃশংস, বর্বর ও ইতিহাসের জঘন্যতম হামলা চালানো হয় হেফাজতে ইসলাম এর কর্মীদের উপর। তখন ইত্তেফাক মোড় ঘিরে রাখে র‌্যাবের শত শত সদস্য।

রাত আড়াইটা থেকে শুরু হওয়া এই যৌথ অভিযানে ১০ মিনিটের মধ্যেই হেফাজত ইসলাম এর কয়েক লক্ষ নেতা-কর্মীকে মতিঝিল থেকে হটিয়ে দেয়া হয়। এ সময় তারা যাত্রাবাড়ি ও ডেমরার দিকে চলে যান। ঝটিকা অভিযানে হাজার হাজার তৌহিদী জনতা নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছেন বলে বিএনপি ও হেফাজতে ইসলাম এর নেতা-কর্মীরা দাবি করেছেন।

অভিযানের পর পরই আন্তর্জাতিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন ওয়েব সাইটে অভিযানের বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন ওয়েব সাইটে লাশের ছবি দেখা গেছে। পুলিশ কন্ট্রোল রুমে বসে পুরো অভিযান পর্যবেক্ষণ করেন আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। নৃশংস এ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন র‌্যাবের তৎকালীন গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধান লেঃ কর্নেল জিয়া, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মারুফ হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অর্থ) আব্দুল জলিল মন্ডল। অভিযানের সময় এপিসি (আর্মার্ড পার্সোন্যাল কেরিয়ার) থেকেও শত শত রাউন্ড গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।

সেই রাতের পৈশাচিকতা প্রচার করার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি চ্যানেল।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: