ভারতের অবৈধ পোশাকে ভরে গেছে দেশ

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৮, ০১:৩৪ পিএম

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার পোশাক বিক্রি হয়। তার মধ্যে দেশীয় পোশাক থাকে ৬-৭ হাজার কোটি টাকার। আর অল্প কিছু সংখ্যক থাকে পাকিস্তানের। বেশির ভাগ পোশাকই থাকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের।

এত কোটি টাকার পোশাক বৈধ পথে আসে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বেসরকারি টেলিভিশনের একটি অনুসন্ধান মূলক অনুষ্ঠানে। অনুসন্ধানে দেখা যায় প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার প্রসাধনী, শাড়ি এবং থ্রিপিস জব্দ করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বিজিবি। শুধু গত নভেম্বর মাসে বাগেরহাট বর্ডার থেকে ১৮ কোটি টাকার থ্রিপিস এবং শাড়ি জব্দ করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

এই অবৈধ পথে পোশাক আনার জন্য বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট কাজ করে। তার মধ্যে ভারতের পোশাক সিন্ডিকেট কাজ করেন, লালা বাবু, পবন, রাজকুমার রাজু, পীযুষ, আশিস, সঞ্জু, অনিল এবং বাংলাদেশের সিন্ডিকেটে আছে সাতক্ষীরার, জাহাঙ্গীর, সাইদুল। হিলির নেপাল বাবু। ব্রাহ্মণ বাড়িয়ার, গউতুম এবং ঢাকার আলাউদ্দিন।

রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করেন আলাউদ্দিন। তার নিজের দোকান হচ্ছে এলিফেন্ট রোডের গোল্ডেন প্লাজায়। ব্যবসায়ী সেজে আলাউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভারত থেকে পোশাক আনতে যেমন খরচ হবে। আমার থেকে পোশাক নিলেও একই খরচ হবে।

অনুসন্ধানের চিত্রে দেখা যায়, বিজিবির একটি চেকপোস্টের সামনে ঢাকা থেকে চট্রগ্রামগামী একটি বাস থামে। এবং প্রতিটি লাগেসের মালিক নিজেই চেকপোস্টে নিয়ে আসে তাদের ব্যাগ। ব্যাবহার থেকে অতিরিক্ত পোশাক থাকলেই বিজিবি তা জব্দ করেন। কিন্তু ব্যাবহারের নাম করে ব্যাবসার জন্য পোশাক আনে কিনা তা কর্তৃপক্ষ বুঝবে।

কিভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে বেনাপল শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর সুপারডেন্ট ছবি রানি দত্ত বলেন, তিন বারের বেশী যদি কেউ পোশাক নিজের নামে নিয়ে আসে তাহলে তাকে আমরা ব্যবসায়ী বলে চিহ্নিত করি।

৩৬০ ডিগ্রির গোপন ক্যামেরায় দেখা যায়, ভারতে যাওয়া আসার পথে সাতক্ষীরার বইকারি গ্রামে, প্রায় ৬ কিলোমিটার পথে কথাও কোন কাটাতারের বেড়া দেওয়া নেই। দেখা যায় বিজিবি গার্ডের সামনেই অবৈধভাবে ভারত থেকে পোশাক ঢুকছে দেশে।

সাতক্ষীরায় জাহাঙ্গীর মার্কেট দেখা যায়, ভারতীয় পোশাকেই চলছে পুরো মার্কেট। ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্ডার এলাকায় ট্যাক্স ছাড়া মাল থাকবেই। এখানে অবৈধ জিনিসই বৈধ।

সাতক্ষীরা সীমান্তের বর্ডার অধিনায়ক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চোরাচালান বন্ধের জন্য। আমি সব ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছি। পুলিশ, সাধারন মানুষ স্থানিয় জন প্রতিনিধি থেকে শুরু করে সকলের কাছে বলেছি আমাকে সহযোগিতা করার জন্য। আমি যেন এই চোরাচালান বন্ধ করতে পারি।

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: