নাগরিক সমাবেশের প্রস্তুতি: প্রচারণায় মাইকিং
আর মাত্র একদিন পরই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে নাগরিক সমাবেশ। সেই সমাবেশের প্রচারণা হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে। সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে চলছে সভা ও মিটিং। রাজনৈতিক সমাবেশ না হলেও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ভাষণের দিকে চেয়ে আছে দেশবাসী।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা কর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা যায় যে, নাগরিক সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে নানান জল্পনা-কল্পনা চলছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে নাগরিক কমিটি এই সমাবেশটির আয়োজন করেছেন। নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় নাগরিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর আনিসুজ্জামান। ওইদিন জাতির উদ্দেশে বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জাতিগত ঐক্য প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেবেন তিনি। এছাড়া থাকবে রাজনৈতিক বক্তব্য। তার বক্তব্যে উঠে আসবে আওয়ামী লীগের জন্য আগামী নির্বাচনের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা। তার বক্তব্যে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রসঙ্গও উঠে আসতে পারে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা জানান।
আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ১৮ নভেম্বরের নাগরিক সমাবেশের সকল প্রস্তুতি নাগরিক কমিটি নিচ্ছে। এরই মধ্যে প্রচারণার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ১৮ নভেম্বর দুপুর থেকেই সমাবেশ শুরু হবে। নাগরিক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দিবেন। অনুষ্ঠানের মধ্যে বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি করা হবে। সমাবেশ শেষে থাকবে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নাগরিক সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এরই মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলেছেন, এটিকে বিএনপির সমাবেশের পাল্টা হিসেবে না দেখানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে এটিকে পাল্টাপাল্টি হিসেবে দেখাবেন না। প্লিজ, আমি আপনাদের কাছে মাফ চাচ্ছি। আমরা কোনো পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করতে চাচ্ছি না। আমাদের সমাবেশ নিয়ে রাজনীতি করতে চাচ্ছি না। যাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমারা শনিবার দেখে সমাবেশ দিয়েছি।’
বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেয়া ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন ইউনেস্কো। এর অংশ হিসেবে প্রথমে ৯ নভেম্বর সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হলেও পরে আওয়ামী লীগের দফতর থেকে জানানো হয়, ৯ তারিখের পরিবর্তে ১৮ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে এ সমাবেশ।
বিডি২৪লাইভ/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: