পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কিং কোবরা সাপের বসত সুন্দরবন! (ভিডিওসহ)

প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০১৫, ০৫:৫৬ এএম

বাংলাদেশের সুন্দরবনে আছে পৃথিবীর সবচাইতে বড় বিষধর সাপ! শঙ্খচূড় (King Cobra) হচ্ছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বিষধর সাপ। যা লম্বায় ৫.৬ মিটার (১৮.৫ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে। মূলত সম্পূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ার বণাঞ্চল জুড়েই শঙ্খচূড় দেখা যায়। ইংরেজি নামে কোবরা শব্দটি থাকলেও এটি কিন্তু আসলে কোবরা বা গোখরা নয়। এটি সম্পূর্ণ আলাদা প্রজাতির একটি সাপ।

এই সাপের আকার পর্যবেক্ষণ এবং ফণার পেছনের অংশ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গোখরার সাথে এটির পার্থক্য খুব সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব। গোখরার তুলনায় শঙ্খচূড় আকৃতিতে যথেষ্ট পরিমাণ বড়। এর ফণার পেছনে প্রচলিত গোখরা বা খড়মপায়া গোখরার মতো চশমা বা গোক্ষুর আকৃতি চিহ্ন থাকে না। শঙ্খচূড় প্রজাতির নাম হচ্ছে Ophiophagus, যার আক্ষরিক অর্থ সাপ খাদক, এবং প্রাথমিকভাবে এটি অন্যান্য সাপ ভক্ষণ করেই তার খাদ্য চাহিদা মেটায়। যে সকল সাপ এটি ভক্ষণ করে তার মধ্যে আছে র‌্যাট সাপ, এবং ছোট আকৃতির অজগর। এছাড়াও অন্যান্য বিষধর সাপও এটি ভক্ষণ করে, যেমন: ক্রেইট, গোখরা, এবং নিজ প্রজাতিভুক্ত অন্যান্য ছোট সাপ।

শঙ্খচূড় সাপের বিষ মূলত নিউরোটক্সিক, অর্থাৎ এটির বিষ আক্রান্ত প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে। শঙ্খচূড়ের একটি সাধারণ দংশনই যে কোনো মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট। এর কামড়ের ফলে সৃষ্ট মৃত্যু হর প্রায় ৭৫%। বাংলাদেশের সুন্দরবনের গভীরে এই সাপের অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়।

ডিম পাড়ার আগে স্ত্রী শঙ্খচূড় তা শরীর পাকিয়ে কুন্ডলী তৈরি করে, এবং তা মৃত পাতা ব্যবহার করে উঁচু ঢিপির মতো তৈরি করে। পরবর্তীতে সেখানে ২০ থেকে ৪০টির মতো ডিম পাড়া হয়। কুন্ডুলী পাকানো দেহটি ইনকিউবেটরের মতো কাজ করে। বাচ্চা ফোটার আগ পর্যন্ত শঙ্খচূড় তার ঢিপিটিকে বিরামহীনভাবে পাহারা দিতে থাকে, এবং কোনো প্রাণী যেনো কাছে আসতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখে।

ঢিপির মধ্যে প্রায় ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ডিমগুলোকে তা দেওয়া হয়। বাচ্চা ফোটার পর তা নিজে নিজেই ডিমের খোলস ভেঙে বেরিয়ে যায় এবং নিজেই নিজের শিকার খুঁজতে থাকে, এজন্য মাকে তার নিজের বাচ্চা ভক্ষণ করতে হয় না। শিশু শঙ্খচূড়ের দৈর্ঘ হয় প্রায় ৫৫ সেন্টিমিটার এবং এদের বিষ প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই মৃত্যুঘাতী।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: