অন্তর্দ্বন্দ্বে আ’লীগ: নির্দিষ্ট সময়ে দল গোছানো নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৫, ০৬:০৮ এএম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে সরকার ও বিরোধী দলের আন্দোলন ঠেকাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দলের সিনিয়র নেতারা। এ কারণে দলের দিকে খুব বেশি নজর দিতে পারছেন না তারা। ফলে দলের জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। আর এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দল গোছানোর নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

দল ক্ষমতায় থাকায় সংগঠনের জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে কেন্দ্রের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা নিজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, অন্যের জমি দখলসহ নানান অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। আর এসব বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে চরম অন্তর্দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা মহানগরের সব থানার সম্মেলন শেষ হলেও অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে রাজধানীর ডেমরাসহ কয়েকটি থানার সম্মেলন করতে পারেনি দলটি। প্রায় দুই বছর আগে অন্য থানার সম্মেলন শেষ হলেও দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্বের কারণে আজ পর্যন্ত কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি আন্দোলনের সূকতিকাগার নামে খ্যাত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। এদিকে আগামী ডিসেম্বরে দলটির কেন্দ্রীয় সম্মেলন কারার কথাও রয়েছে।

দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ৭৫টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অধিকাংশ জেলায় এখনও সম্মেলন হয়নি। আবার অনেক জেলায় সম্মেলন হলেও কমিটি গঠন করা হয়নি। কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, গাইবান্ধা ও ঝালকাঠিসহ বিভিন্ন জেলায় সম্মেলন হচ্ছে না অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে। এসব এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই সম্মেলন করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠন করেই জুন-জুলাই মাসের দিকে দল গোছানোর উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা নির্দেশে দলের সিনিয়র নেতা ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা মিলে কয়েকটি কমিটি গঠন করে দল গোছানোর কাজে নেমেছিল। এ কমিটি গত ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সম্মেলন শেষ কারার কথা ঘোষণা দিলেও আজ পর্যন্ত তারা তা করেত পারেনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেন, আমোদের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সম্মেলন প্রায় সম্পন্ন। তবে এ কার্যক্রম আরও কিছুদিন চলবে। এর পরই কেন্দ্রীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়া হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের কারণে আমাদের একটু সময় লাগছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ একটি বড় সংগঠন। এতো বড় একটি সংগঠনের সম্মেলন করতে সময় তো লাগবেই। তবে খুব শীঘ্রই জেলা ও উপজেলার সম্মেলন শেষ করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা জাতীয় কাউন্সিল করতে চাই।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: