পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রাণ গেল মুদি দোকানদারের

প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:৫৯ পিএম
আবদুল্লাহ আল ইমরান, বাগেরহাট থেকে: বাগেরহাট সদর উপজেলার রাধাভল্বব এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ইকরাম শেখ (৫০) নামের এক মুদি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার বিকেলে রাধাভল্লব এলাকায় তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পূর্ব শত্রুতার জেরে একই এলাকার স্থানীয় সিদ্দিক হাওলাদার ও তার ছেলেদের নেতৃত্বে ইকরামের উপর হামলা করে। এ সময় ইকরাম ও তার বোনের ছেলে মোহসিন শেখ (৩৫) মারাত্মক আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় আহতদের। নিহত ইকরাম শেখ রাধাভল্লব এলাকার খালেক শেখের ছেলে। সে পাশ্ববর্তী পুঠিমারী ব্রিজের পাশে মুদি দোকানদার ছিলেন। আহত মোহসিন শেখ একই এলাকার বারেক শেখের ছেলে। মোহসিন শেখ এখনও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হামলার পরে আহত মোহসীন শেখের পিতা বারেক শেখ বাদী হয়ে রাধাভল্লব এলাকার সিদ্দিক হাওলাদার, সিদ্দিকের ছেলে সবুজ হাওলদার, সজিব হাওলাদার, ইব্রাহিম হাওলাদার, কেবি বাজার এলাকার আবু হোসেনের ছেলে নাসির এবং গোব দিয়া এলাকার লতিফসহ ৬জনকে আসামী করে বাগেরহাট মডেল থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। বারেক শেখ বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে অপরাধীদের এনে স্থানীয় জমির দালাল বিএনপি নেতা খলিল এলাকায় অনেক প্রকার খারাপ কাজ করে থাকে। জমি-জমা দখল সংক্রান্ত বিষয়ের কারণে খলিল বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে এলাকায় আশ্রয়-প্রশয় দিয়ে থাকেন। খলিলের আশ্রয় প্রশ্রয়ে এলাকায় বিভিন্ন লোকের উপর হামলা হয়ে থাকে। সিদ্দিক খলিলের আত্মীয় হওয়ায়, খলিলের পরামর্শে সিদ্দিক ও তার ছেলেরা ইকরাম ও আমার ছেলের উপর হামলা করে। আমি এই হামলার বিচার চাই। বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, হামলার পরে আহত মোহসীনের বাবা বারেক শেখ বাদী হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের ঘটনা উল্লেখ করে ৬জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। যেহেতু আহত ব্যক্তি মারা গিয়েছে ওই মামলাটিই হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হবে। নিহতের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: