রবিবার (২৩ মে) মধ্যরাত থেকে চলমান বিধিনিষেধ আরও সাত দিনের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলমান ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধ আগামী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তবে বিধিনিষেধের মধ্যে আগামীকাল সোমবার (২৪ মে) থেকে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ, ট্রেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে পারবে। আজ নতুন করে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ‘করোনাভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে পূর্বের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ২৩ মে মধ্যরাত থেকে আগামী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হলো।’
আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধান এবং সবধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, হোটেল, রেস্তোরাঁ স্বাস্থ্যবিধি মেনে (দুই আসনে একজন) খুলে দেওয়া হবে আগামীকাল (২৪ মে) থেকে। তবে সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালতের ক্ষেত্রে পূর্বের নিয়ম বহাল থাকবে।
লকডাউনের মধ্যে যেসব শর্ত বহাল থাকছে
১. দোকানপাট/শপিং মলসমূহ পূর্বের ন্যায় খোলা থাকলেও সকল দোকানপাট-শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দোকানপাট, শপিং মল তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেওয়া হবে।
২. মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
৪. কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন, জেলা সদর, পৌরসভা এলাকাসমূহে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/পৌরসভা মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পাঠকের মন্তব্য: