সিরাজগঞ্জে কবরে আগুনের ভিডিও ভাইরাল, আসলে কি ঘটেছিল
সিরাজগঞ্জের পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ কবরস্থানের একটি কবরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। বৃহষ্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির ফেসবুক পেইজে কবরে আগুন জ্বলার ভিডিওটি দেখা গেছে। ঘটনাটি এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা জানান, গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কে বা কারা কবরস্থানে থাকা পলিথিন জড়ো করে ওই কবরটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই ঘটনার ভিডিও করে ভাইরাল করার জন্য ফেসবুক পেইজে ছাড়ে, সেই ভিডিও দেখে আজ সকাল থেকে কবরস্থানে লোকজন ভিড় করে। তারা আরও জানান, ওই ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য ছিল ভিডিওটি ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তা ভাইরাল করা। বিষয়টি নিয়ে গুজব না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ জানান স্থানীয়রা।
কবরস্থানের খাদেম আফজাল হোসেন বলেন, কবরস্থানের কিছু পলিথিন কাগজ ও গাছের পাতা একত্রিত করে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। আমরা মাগরিবের নামাজ শেষে একটি কবরে আগুন জ্বলছে দেখতে পাই। পরে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। কেউ হয়তো ইচ্ছে করে মোবাইলে প্রচার করার জন্য একাজ করেছে। তবে আপনারা কেউ দয়া করে কবরের ছবি উঠাবেন না। কবরের ছবি তোলা নিষেধ।
ওই এলাকার কাউন্সিলর মো. জুলফিকার হাসান খান জানান, কিছু কুচক্রী ইসলাম বিরোধী কুসংস্কার রটানোর জন্য এসব করেছে। কবর স্থানের পরিত্যক্ত আগাছা, পলিথিন আর শুকনা পাতা জড়ো করে কবরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তা ভিডিও করে ছড়িয়ে দেয়।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি জানা মাত্র তদন্তের জন্য অফিসার ঠিক করে দিয়েছি। তিনি তদন্ত তরে দ্রুত এই সব ছেলেদের আইনের আওতায় আনবে। তবে আমার মনে হয় ওরা টিকটক বানানোর জন্যই এই কাজ করেছে। যাতে ধর্মের উপর ভর করে দ্রুত ভাইরাল হতে পারে। তবে কেউ যেন আর এই মিথ্যে সংবাদ প্রচার না করে সে দিকটা খেয়াল রাখবেন।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: